আলো'র অভিযাত্রা

জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনার মাধ্যমে মানুষের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করা - এই হচ্ছে ‘আলো’র লক্ষ্য। প্রচণ্ড প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আজ সাফল্যের পিছনে উর্ধশ্বাস ছুটতে ছুটতে জীবনের সার্থকতা ও প্রকৃত শান্তি হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়েছে। জীবন চলার পথের বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সঠিক ও বিজ্ঞানসম্মত নিয়মটির বিষয়ে অজ্ঞতা বা জেনেও সেটি না মানার কারণে আজ অসফলতায় পর্যবসিত হচ্ছে আমাদের দিনগুলো। ফলশ্রুতিতে আমরা নিরানন্দে শেষ করে চলি আমাদের অমূল্য এ সময় ও জীবনীশক্তি।

এই অন্ধকার থেকে আলোকিত অর্থবহ জীবনের হাতছানি দিচ্ছে ‘আলো’র বিভিন্ন জীবনশৈলী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বই। চলুন, এক আলোকিত জীবনের পথে, আলো’র সাথে…

আলো'র অভিযাত্রী

Mirajul Hoque

Founder | Lifeskill Trainer

এক নজরে লাইফস্কিল ট্রেইনার মিরাজুল হক

  • ২০০১, বিশ্বব্যপী প্রতিষ্ঠিত আই.টি ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান নিউ হরাইজন্স-এ ট্রেনিং ক্যারিয়ার শুরু।
  • ২০১৪ – ২০২১, আই.ডি.বি এর আই.টি স্কলারশীপ প্রজেক্ট এর ট্রেইনার।
  • নেটওয়ার্কিং টেকনোলজিতে মাইক্রোসফট সার্টিফায়েড ট্রেইনার।
  • ২৪ বছর ধরে ৪ হাজারেরও বেশী মানুষকে প্রশিক্ষিত করেছেন।
  • ১৯৯৮ সালে লিড, ইন্সটিটিউট অফ পারসোনাল পাওয়ার-এ সফ্‌ট স্কিল ট্রেইনিং এর হাতেখড়ি।
  • প্রতিষ্ঠানটির কো-ট্রেইনার হিসেবে কাজ করেছেন।
  • দেশে, বিদেশে এবং অনলাইনে অসংখ্য লাইফ-স্কিল ট্রেইনিং।
  • Parikshit Jobanputra; Samanvey Group আহমেদাবাদ, গুজরাট, ভারত থেকে
    প্যারেন্টিং ও ট্রেইন দ্য ট্রেইনার্স সার্টিফায়েড।
  • ২০১৮ সালে ‘আলো’ – আলোকিত জীবনশৈলী প্রতিষ্ঠা করেন।
  • ২০২১ সালের জুন মাসে ‘প্রজন্মকথা – পজিটিভ প্যারেন্টিং সিক্রেট্‌স’ বইটি লিখেন।
  • সাফীর একাডেমি, চট্টগ্রাম – এর  টিচার্স ট্রেইনার।
  • আল হামীম ইন্সটিটিউট, চট্টগ্রাম – এর টিচার্স এবং প্যারেন্টিং ট্রেইনার।
  • কর্ণফুলী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ – এর টিচার্স ট্রেইনার।
  • প্রফেসর হযরত জলিল শাহ্‌ ইসলামিক একাডেমি, রাউজান, চট্টগ্রাম – এর টিচার্স ট্রেইনার।
  • জামেয়া মুহাম্মদিয়া কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা, সবুজবাগ হালিশহর – চট্টগ্রাম এর টিচার্স ট্রেইনার।
  • কিউবিদ্যা রাঙ্গামাটির সাথে নিয়মিত প্যারেন্টিং ও খেলাপড়া ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেছেন।
  • অনলাইন ও অফলাইনে প্রচুর ওয়েবিনার, ওয়ার্কশপ সম্পন্ন করেছেন।

 Life-skill Trainer Mirajul Hoque at a glance

  • In the year 2001 training career started at New Horizons CLC of Chittagong, a leading IT training company worldwide.
  • 2014 -2021, trainer at IDB-BISEW IT Scholarship Project.
  • Microsoft Certified Trainer in Networking Technology.
  • 24 years of experience in training industry.
  • 1998, got the first life-skill training at LID, Institute of personal power.
  • Worked as co-trainer in the organization.
  • Attended many online and offline training in country and abroad.
  • In 2018, visited Ahmedabad, Gujarat, India for Parenting and Train the Trainers Workshops becoming a certified soft skill trainer from Parikshit Jobanputra; Samanvey Group
  • Year 2018, founded ‘MIRAJ’S Lifeskills’.
  • 2021 – First book published, Projonmokotha – Positive Parenting Secrets.
  • Teachers’ Trainer at Safeer Academy, Chittagong.
  • Teachers’ and Parenting Trainer at Al Hameem Institute, Chittagong.
  • Teachers’ Trainer at Professor Jalil Shah Islamic Academy, Raozan,
  • Teachers’ Trainer at Jamea Muhammadia Kindergarten Madrasa, Shobujbag, Halishahar, Chittagong.
  • Conducts regular workshops for QVidya, Rangamati.
  • Many workshops and webinar directed online and offline.

Rubina Akter

Customer Happiness Manager

Jumana Binte Islam

Co-Trainer

Afif Ibne Shama

Content Creator

আলো'কিত প্রশিক্ষণার্থী

পিতা-মাতা সন্তানদের সুস্থ, সুখী ও সফল দেখতে চান, এটার চেয়ে সত্য আর কিছু হতে পারে না। আমাদের পিতা-মাতাও আমাদের নিয়ে একই স্বপ্ন দেখতেন এবং আমাদেরকে জীবনে সফল করার জন্য প্রাণপন চেষ্টা করেছেন, আমরাও করছি। কিন্তু যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন প্রজন্মের ধরণ, পারিপার্শ্বিকতা, পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশ ও প্রেক্ষাপট সব ক্ষেত্রেই এসেছে আমূল পরিবর্তন। তাই আমাদের পূর্বপুরুষদেও ‘সন্তান মানুষ’ করার পদ্ধতিটা এ সময়ে আর আশানুরূপ ফল দিতে পারছে না। পুরানো পদ্ধতিতে এ শতাব্দীর সন্তান মানুষ করার চেষ্টা করা - এ যেন মহাকাশযানের ইঞ্জিন দিয়ে পুরানো মোটরসাইকেল চালানোর চেষ্টা। ব্যাপারগুলো কেন যেন খেয়াল করা হয়নি আগে। লেখক চোখে আঙ্গুল দিয়ে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আমাদের সন্তানদের সাথে প্রতিদিন করে যাওয়া ভুলগুলো। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যা কিছু আমাদের একেবারেই করা উচিৎ না সেগুলোই আমরা তাদের সাথে করছি, আর যা অবশ্যই করা উচিৎ সেগুলোই করছি না। এভাবে চলতে থাকলে ফলাফল অনেক ভয়াবহ হতে পারে। একটি অসুখী , লক্ষ্যহীন, প্রাণহীন প্রজন্ম গড়ে ওঠা অবশ্যম্ভাবী। কোন সমস্যা সমাধানের প্রথম ধাপ হলো সমস্যাটি সম্পর্কে বিশদভাবে জানা। দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে একটি সাধনযোগ্য কর্মপরিকল্পনা করা। এ বইটি সেটি করতে পেরেছে এবং ইতিবাচক ও ব্যবহারিক সমাধান দিতে পেরেছে একথা নিঃসন্দেহে আমি বলতে পারি। লেখককে অনেক অনেক অভিনন্দন, শুভকামনা, ভালবাসা ও দোয়া। 'প্রজন্মকথা' বইটি ইতিবাচক সন্তান মানুষ করার কাজে একটি মাইলফলক হবে একথা আমি বিশ্বাস করি।
মাহ-এ-নূর কুদসী ইসলাম
অধ্যাপক (ইংরেজি বিভাগ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ধূসর মরুর উষর বুকে শহর গড়ার চেয়ে একটি আদম সন্তানকে ‘মানুষ’ করা কঠিন - বলেছিলেন কবি নজরুল। আমি মনে করি ‘আলো’র ওয়ার্কশপগুলো মানবিক মনের সুন্দর সুন্দর মানুষ তৈরীতে প্রত্যক্ষ সাহায্য করবে আর সে মানুষগুলো মরুর বুক ফুল-ফলে সুশোভিত-সুবাসিত-আলোকিত উদ্যান তৈরী করবে। এ পৃথিবীকে আরো বসবাসযোগ্য-শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য করে তুলবে। আমাদের ও আমাদের সন্তানদের সমস্যাগুলি আমরা মোটামুটিভাবে সবাই জানি। জেনেও গতানুগতিকভাবে অন্ধের মতো সেই অন্ধকারের পথে এগিয়ে চলেছি, নিজেরদের সন্তানদেরকেও সেই অন্ধকারের পথেই ঠেলে দিচ্ছি- জেনেও যেন আমরা জানি না- দেখেও যেন কিছু দেখি না। যেন আমাদের কারো কিছু করার শক্তি সামর্থ সাহস কিছুই নেই। এই অসহায়ত্বকে নিয়তির বিধান মনে করে তার কাছে আত্মসমর্পন করে চলেছি। ‘আলো’ সে অসহায়ত্বের অন্ধকার দূর করার কাজে নেমেছে। এরচেয়ে ভাল আর কী হতে পারে। আমরা সবাই সবসময় আছি ‘আলো’র সাথে। ‘আলো’ আমাদের ও আমাদের সন্তানদেরকে ‘আলো’ দেখাক। জ্ঞানের আলো, দক্ষতার আলো, সফলতা ও সার্থকতার আলো। এ পৃথিবীতে আমরা যখন আর থাকবো না তখন আমাদের সন্তানদেরকে দেখে মানুষ তাদের ও আমাদের অজান্তেই আমাদের জন্য দোয়া পাঠাবে আর তাদের ভাল কাজগুলির পুরষ্কার আমাদের আমলনামাকে সমৃদ্ধ করবে। আমি দোয়া করি মিরাজ স্যারের সুচিন্তা এবং এ মানবতার জন্য এ প্রচেষ্টা আলাহ তা’আলা কবুল করবেন।
ডা. মুনিরা খাতুন
এসোসিয়েট প্রফেসর (ফিজিওলজি বিভাগ) চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল
এই কোর্সটি করার আগে আমি সবসময় নিজেকে রাইট মনে করতাম। ভাইয়া এতো সুন্দর করে আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিলেন এবং আমাকে সঠিক পথ দেখালেন। এই কোর্স করলে শুধু সন্তান পালন নয়, আমাদের আশপাশে র মানুষগুলোকেও ডিল করতে শেখায় কোন বিবাদ ছাড়া-ই। আমার পাহাড় সমান সমস্যা গুলো ধুলিপরিমাণ হয়ে গেছে। আমি মনে করি পড়াশোনার পাশাপাশি এই শিক্ষা গুলো সবাইকে দেয়া উচিত তবেই আমরা সবাই সঠিক মানুষ হবো। অনেক ধন্যবাদ ‘আলো’কে।
আফরোজা মাহমুদ
গৃহিনী মা
আমি আমার সন্তানের যে আচরণগুলোকে সমস্যা মনে করতাম, ওয়ার্কশপ করার পর জানলাম সেগুলো আসলে কোন সমস্যা না। আর যেসব কাজ সমাধান মনে করে করে গিয়েছি সেগুলো যে পরে গিয়ে অনেক বড় সমস্যা তৈরী করবে সেটা বুঝতে পেরেছি। বাচ্চা এখনো ছোট। আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন সুন্দর করে আমার বাচ্চাটিকে মানুষ করতে পারবো। এ ওয়ার্কশপটি আমাদের দু’জনের জীবনই বদলে দিয়েছে। ধন্যবাদ ‘আলো’-কে।
তাসমীম হোসাইন
কর্মজীবি মা
আমার সন্তান খুব রাগ করতো, চীৎকার করতো, অস্থির করতো। আমিও পাল্লা দিয়ে চীৎকার করতাম ওর সাথে। ওয়ার্কশপ করার পর জানতে পারলাম কিছু অভূতপূর্ব টেকনিক যা আমাকে আগে কেউ কখনো বলেনি। মাত্র দু’টি টেকনিক প্রয়োগ করে আমি আর আমার সন্তান দু’জনের কেউ আর ইচ্ছা করলেও রাগ করতে পারছি না। এ যেন আসলেই ম্যাজিক। সবার শেখা উচিৎ জীবন বদলে দেয়া এ জীবনকৌশল গুলো। ‘আলো’র জন্য শুভকামনা।
সাজিয়া আফরিন
গৃহিনী মা
আমার ‘অস্থির’ সন্তানকে নিয়ে আমি শেষ পর্যন্ত ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। তারাও ঔষধ দিয়ে দিয়েছিলেন। এক বছর ধরে ঔষধ খাওয়াচ্ছিলাম। অবচেতন মন বলছিলো - ‘কিছু একটা নিশ্চয়ই ভুল হচ্ছে।’ এক বছর পর ঔষধ বন্ধ করার সাথে সাথে আগের চেয়ে অনেক প্রকট হয়ে সমস্যাটি দেখা দিল। তখনই আমি নিশ্চিত হলাম - এটা একটা চরম ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো। আমি পাগলপ্রায় হয়ে সমাধান খুঁজতে লাগলাম। কেমন করে যেন ম্যাজিকের মতো ‘আলো’র এই ওয়ার্কশপটা পেয়ে গেলাম। আল্লাহ্্র কাছে লাখো শুকরিয়া আমি বুঝতে পেরেছি আমার সন্তান পুরোপুরি স্বাভাবিক একটি বাচ্চা। আসলে সমস্যা আমাদের নিজেদের আচরণের মধ্যেই ছিলো। মাত্র দু’তিন দিন ওয়ার্কশপ-এ বলে দেয়া নিয়ম মেনে সন্তান সম্পর্কিত সমস্যাগুলির সমাধান পেতে শুরু করেছি। আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ ‘আলো’র কাছে।
ইসরাত জাহান
গৃহিনী মা

ছবিঘর